বিজেপি নেতাকে রথ থেকে নামিয়ে দুধ গঙ্গাজল ছিটিয়ে রথ শুদ্ধ করলেন বিজেপি কর্মীরাই

23rd February 2021 8:15 pm বাঁকুড়া
বিজেপি নেতাকে রথ থেকে নামিয়ে দুধ গঙ্গাজল ছিটিয়ে রথ শুদ্ধ করলেন বিজেপি কর্মীরাই


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : চরম অস্বস্তিকর ঘটনার সম্মুখীন হলেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার দীর্ঘ ৩৪ বছরের পৌরপ্রধান, প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে বিজেপি শিবিরে নাম লেখানো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে আদি বিজেপি কর্মীদের কটুক্তি আর বিক্ষোভের মুখে পড়ে  দলের পরিবর্তন যাত্রার রথ থেকে নেমে পড়তে বাধ্য হলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, নব্য বিজেপি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ঐ 'রথ' থেকে নেমে পড়ার পর তা দুধ আর গঙ্গাজল দিয়ে 'শুদ্ধিকরণ' করলেন ঐসব দলীয় কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও  দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বিষ্ণুপুর পৌর সভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান শ্যাম মুখার্জী। তারপর থেকেই বিজেপির একাংশ তাঁকে দলে নেওয়ার বিরুদ্ধাচরণ করে আসছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে বিষয়টি ধামাচাপা ছিল। এদিন বিক্ষোভের আশঙ্কা করেই বিষ্ণুপুর শহরে ঢোকার আগেই জয়পুর জঙ্গলে তিনি ঐ রথ থেকে নেমে পড়েন।

রথ থেকে নেমে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী নিজেও। তিনি বলেন, দলের কথাতেই রথে চেপেছিলাম। ঝামেলা হতে পারে আন্দাজ করেই দলের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে ও দলের সম্মানের কথা ভেবে রথ নেমে পড়েছি। এর বাইরে কে কি বললো তার আগ্রহ নেই বলে তিনি জানান।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক নীরজ কুমার বলেন, 'ওনাকে (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী) নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। উনি বর্ষীয়ান নেতা। বড় দল কে কি বললো খুঁজে দেখা মুশকিল। যদি কিছু হয়ে থাকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখবেন। তবে তিনি শ্যাম বাবুকে উঠতে বা নামতে কোনটাই দেখেননি বলে দাবি করেন। বিজেপি নীতি, আদর্শহীন দল। দাবি তৃণমূলের। দলের নেতা ও পৌরপ্রশাসক দিব্যেন্দু ব্যানার্জী বলেন, বিষ্ণুপুর শহরে ওদের লোক নেই, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর যারা রথে চেপে নাচছে তারা কে স্বাস্থ্য সাথী সহ অন্যান্য সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পায়নি বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।